কমলা খাওয়ার উপকারিতা-রাতে কমলা খেলে কি হয়

পেপে খাওয়ার উপকারিতা-পাকা পেপে বেশি খেলে কি গাস হয়কমলা একটি পুষ্টিগুন সম্পন্ন এবং আঁশ জাতীয় ফল। কমলা তে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। কমলা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। আপনারা যারা কমলা খাওয়ার উপকারিতা এবং রাতে কমলা খেলে কি হয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের নিচের আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন। এখানে আমরা আরো উল্লেখ করেছি রাতে কমলা খেলে কি হয়।
আমরা আমাদের খাদ্য তালিকায় কমলাকে রাখতে পারি। আমরা নিচে আর আলোচনা করেছি কমলা খাওয়ার নিয়ম ও ঠাণ্ডা,জর,কাশিতে কমলা খাওয়া উচিত এসব সম্পর্কে জানতে চাইলে নিচে পরে আসতে পারেন।

ভুমিকা

কমলাতে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপাদান রয়েছে। কমলা দেখতেও যেমন সুন্দর খেতেও তেমন স্বাদে ভরপুর। তবে শীতকালে বেশি পাওয়া যায়। কমলা খুবই একটি সুস্বাদু ফল। কমলা আমাদের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে অনেকটা। কমলা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। কমলা আমাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখে, হৃদ যন্ত্র ভালো রাখে, কমলায় থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কমলা খেলে কি কি উপকার হয় তা সম্পর্কে আলোচনা করছি আপনি চাইলে নিচের আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।

কমলা খাওয়ার উপকারিতা

  • ওজন কমায়ঃ কমলা খেলে ওজন বাড়ে না কারণ এখানে কোন ফ্যাট থাকেনা। কমলা একটা ফাইবার জাতীয় খাবার। তাই কমলা খেলে ওজন বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
  • মস্তিষ্ক ভালো রাখেঃ কমলা খেলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালো থাকে।
  • সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেঃ ত্বকের জন্য কমলা খুব উপকারী। কমলাতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা মুখের স্কিন ভিতর থেকে সুন্দর এবং নরম এবং প্রাণবন্ত রাখে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ কমলা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। কমলা খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। কমলা আমাদের হৃদ যন্ত্র ভালো রাখে। আমাদের প্রতিদিন কমলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
  • চোখ ভালো রাখেঃ কমলা খেলে চোখ ভালো থাকে কারন প্রচুর ভিটামিন সি আছে যা আমাদের চোখকে ভালো রাখে।
  • প্রদাহ সারিয়ে তোলেঃ কমলা একটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সম্পন্ন ফল তাই কোন প্রদাহ সারিয়ে তুলে এবং ঔষধের মত কাজ করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ কমলা একটা ফাইবার জাতীয় ফল যেটাতে অনেক আশ থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমের সমস্যা দূর করে।
  • কোলেস্টেরলের সমতা বজায় রাখেঃ কমলা শরীরের কোলেস্টেরলের সমাধান রক্ষা করে। কমলা খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কমলা খাওয়ার নিয়ম

কমলার ভিটামিন সি জাতীয় একটি ফল। আমাদের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে। কমলাতে রয়েছে ফাইবার। কমলা দুপুরে বা অন্য টাইমে না খেয়ে সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত। কমলা অন্য টাইমে খাইলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে বদহজম হতে পারে তাই সকালে খালি পেটে খাওয়ায় উচিত।

ঠান্ডা জ্বর কাশিতে কি কমলা খাওয়া উচিত

ঠান্ডা জ্বর কাশিতে কমলা আরো বেশি করে খাওয়া উচিত কারণ কমলা তে রয়েছে ভিটামিন সি। যেহেতু কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটা ফল তাই ঠান্ডা জ্বর কাশিতে এটা খুব ভালো কাজ দে্লা। ঠান্ডা জ্বর কাশিতে ভিটামিন ভিটামিন সি অনেক প্রয়োজন, যা কমলা খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়।জ্বর কাশি ভালো করে তাই ঠান্ডা জ্বর হলে কমলালেবু আরো বেশি বেশি করে খাওয়া উচিত।

রাতে কমলা খেলে যা হয়

কমলা দিনে বা সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত। তাই কমলা রাতের না খাওয়াই ভালো। রাতে কমলা খেলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। রাতে কমলা খেলে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে,গলা জ্বালাপোড়া করতে পারে,পেট ব্যথা করতে পারে। তাই রাতে কমলা না খাওয়াই ভালো।

কমলার খোসার উপকারিতা

কমলার খোসায় রয়েছে আন্টি মাইক্রোবিয়াল। যা স্কিনের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং ব্রনের বিরুদ্ধে কাজ করে। ত্বকের ব্রণ দূর করে কমলার খোসা। আমরা একটু পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়ে যদি মুখ ধুই। তাহলে মুখের ব্রণ দূর হওয়ার সাথে সাথে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। কমলার খোসার গুড়া মধু,লেবুর রস,ইত্যাদি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে আমরা মুখে লাগিয়ে রাখতে পারি। তাতে করে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

কমলা খেলে কি ক্ষতি হয়

কমলা একটা ফাইবার জাতীয় ফল।  তাই বেশি খেলে পেট ফাঁপা মনে হয়,বমি বমি ভাব হয়,পেটে ব্যথা হয় জ্বালাপোড়া করে,গলায় জ্বালাপোড়া করে। কমলা একটি এসিডিক ফল তাই যাদের এসিডিটি রয়েছে। কমলা খেলে আসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এই কমলা পরিমাণমতো খাওয়া উচিত বেশি খাওয়া উচিত না।

শেষ কথা

কমলা অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল। কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যেহেতু এটা একটা এসিডিক ফল তাই আমাদের পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। বেশি খেলে শরীরের সমস্যা হতে পারে। যদি আমাদের উপরের পোস্টটি ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে পারেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের মতামত জানান

comment url