তালের শাস খাওয়ার উপকারিতা

লিচু খাওয়ার উপকারিতা-লিচুর বিচি খেলে যা হয়তালের সাশ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। তালের শ্বাস পছন্দ করে না এমন কোন লোক খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল।। তালের সাশ বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে তারপর খাওয়া যায়।তালের সাহস খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। তালের শাঁসের উপকারিতা সম্পর্কে যারা জানতে চান তারা আমাদের নিচের আর্টিকেলটি করে আসতে পারেন।
আমরা এখানে আরো আলোচনা করেছি তালের সাশ খাওয়ার উপকারিতা এবং পাকা তালের কি কি খাওয়া যায় এসব সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে নিচে পড়ে আসতে পারেন।

ভুমিকা।

তাল সচরাচর পাওয়া যায় না। তালে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই গরমকালে তালের সাশ একটা ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার। তাল আমাদের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান দিয়ে থাকে তালের যেসব পুষ্টি গুনাগুন এবং উপকারিতা রয়েছে এসব সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনারা চাইলে নিজের আর্টিকেলটি পুরাটা পড়ে আসতে পারেন।

তাল খাওয়ার উপকারিতা

তাল গরম কালের একটি ফল। তাল গরমকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় আমরা সকলেই কাল পছন্দ করে থাকি। নিচে আমরা তাল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি যার মাধ্যমে আপনারা সকলেই জানতে পারবেন আসলে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
শরীরকে হাইড্রেট রাখেগরমকালে আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে পানির শূন্যতা দেখা যায় ।গরমকালে শরীরে পানির দরকার হয় আর তালে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা শরীরকে হাইড্রেট রাখে।তবে খুব বেশি পরিমাণ খাওয়া উচিত নয় পরিমান মত খাওয়া উচিত কারণ বেশি খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
  • এলার্জি দূরীকরণেঃ আমাদের সকলেরই কমবেশি অ্যালার্জি আছে তবে গরমকালে এলার্জির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় আর এই এলার্জি দূর করতে তালের শ্বাসের ভূমিকা অপরিসীম। গরম কালে আমাদের শরীরে যে এলার্জি বা চুলকানির সমস্যা গুলো হয় তালের শাঁস খেলে তা দ্রুত কমে যায় তাই গরমকালে আমাদের উচিত বেশি বেশি করে তা্লের সাস খাওয়া।
  • লিভারের সমস্যা দূরীকরণঃ আমাদের আজ্কাল লিভারের সমস্যা খুব বেশি দেখা যায় লিভারের সমস্যা দূর করতে তালের শাঁসের ভুমিকা অপরিসীম। আমাদের লিভারের সমস্যা হয় মূলত তেল জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে তাই আমরা এসব তেল জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে যদি নিয়মিত তালের শাঁস খেতে পারি তাহলে লিভারের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • পেটের সমস্যা দূরীকরণঃ গরমকালে আমাদের পেটের সমস্যা একটু বেশি হয় পেটের বদহজক গ্যাসের সমস্যা পেট ফাঁপা এসব থেকে রক্ষা পেতে আমরা তালের সাশ খেতে পারি তালের শাঁস খেলে পেটে গ্যাসের পরিমাণ কমে যায় বদহজম দুর হয় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। গর্ভবতী নারীদের বদ হজম সমস্যা দূর করে এই তালের সাশ পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে:আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং অনেকক্ষণ পেটে থাকে বলে পেট ভরা ভরা মনে হয়। হৃদরোগের সমস্যা দূর করে। আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
  • দাঁতের সমস্যা দূরীকরণঃ তালের শ্বাস দাঁতের সমস্যা ও দূর করে থাকে। ক্যালসিয়াম নামক একটি উপাদান থাকে যা দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে দাঁতের ক্ষয় রোগ দূর করে থাকে তাদের এনামেল গুলো সুস্থ রাখে এবং দাঁত ক্ষয় হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।ক্যালসিয়াম দাঁতের জন্য খুবই উপকারী আর এই ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় নিয়মিত তালের সাশ খাওয়া উচিত।
  • চোখের সমস্যা দূরীকরণেঃ তালের চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে তালের সাশে রয়েছে পটাশিয়াম ফসফরাস যা চোখের জন্য খুবই উপকারী। চোখের এলার্জি জনিত চুলকানি জনিত বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে যা তাদের শ্বাস খেলে দূর হয়ে যায়।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ তালের শাঁস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে তালের শ্বাসে এমন সব পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের রক্তচাপ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

পাকা তাল খেলে মিলবে যেসব রোগ থেকে মুক্তি

  • পাকা তাল খেলে পেটের সকল প্রকার সমস্যা দূর হবে। বদহজমের কারণে যে বমি বমি ভাব তা তাল খাওয়ার মাধ্যমে ভালো হয়ে যাবে
  • তালে রয়েছে বিভিন্ন অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি অনেক তীক্ষ্ণ করে।
  • তালের শাঁস একটি ফাইবার জাতীয় খাবার যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য মতো বড় সমস্যা বড় সমস্যা দূর করে ফেলে।
  • তালে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম আমাদের দাতকে ক্ষয় হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং হাড় কে সুস্থ রাখে।
  • তালের রস যদি কেউ নিয়মিত খেতে পারে তাহলে তার বাতের যে ব্যথা রয়েছে তা থেকে মুক্তি মিলবে
  • তালে রয়েছে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা আমাদের ভিটামিন বি এর অভাব তাল খেলে শতভাগ কমে যায় ।
  • যেহেতু তালের সাশে পানি পাওয়া যায় তাই এটি আমাদের শরীরের পানি সাম্যতা বজায় রাখে।
  • অনেক ফাইবার থাকার কারণে তালের মাঝখানে পেট ভরা ভরা এবং ক্ষুধা কম লাগে লাগে যার কারণে আমাদের শরীরের ওজন ঠিক থাকে।

তালের রস দিয়ে যেসব খাবার বানানো যায়

গ্রামে গঞ্জে বা শহরে আমরা সকলেই তালের বিভিন্ন ধরনের পিঠা আমরা ছোট বড় সকলেই পছন্দ করে থাকি। তাল দিয়ে বিভিন্ন রকম পিঠা বানানো যায়। যেমন তালের বড়া পাটিসাপটা তালের ক্ষীর রসবড়া তালের রুটি ইত্যাদি গ্রামের মানুষ তো তাহলে রুটি আর তালের বড়া প্রচুর পরিমাণ পছন্দ করে এবং অতিথি আসলে এসব বানিয়ে খাওয়াই। তালের হালুয়াও অনেক পছন্দ সকলের।

তালের শাসে অবস্থিত পুষ্টি উপাদান

তালের সাশে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। তালের শাঁসের ৮০ভাগই পানি। তালের সাসে আছে কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আরো আছে ভিটামিন এ বি কমপ্লেক্স ভিটামিন বি এ যা আমাদের শরীরের ভিটামিন বি এর অভাবজনিত সমস্যা গুলো দূর করে থাকে।
তালের শ্বাসে আরো রয়েছে পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম যা আমাদের শরীরের দাঁত এবং হাড়কে সুস্থ রাখে। তালের সাসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার।

তালের শাঁস খাওয়ার অপকারিতা

তালের সাসে বিভিন্ন উপকারিতা থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন অপকারিতা রয়েছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই শরীরের জন্য ভালো না। শরীরকে ভালো রাখার পরিবর্তে আরো খারাপ করে দে। তাল যদি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে আমাদের যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের দেশের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
তাল মিষ্টি জাতীয় খাবার হওয়ার কারণে শরীরের চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের রক্তচাপ আর নিয়ন্ত্রণে থাকে না বৃদ্ধি পেতে পারে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে মাথা ঘোরা থেকে অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই আমাদের উচিত কালের উপকারিতা মাথায় রেখে পরিমাণ মতো খাওয়া।

শেষ কথাঃ

আমরা উপরের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবংতাল খেলে আমাদের কি কি উপকার হয় কি কি রোগ দূর হয় আপনাদের যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের নিজস্ব মতামত জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের মতামত জানান

comment url