লেবুর উপকারিতা-ত্বকের উজ্জ্বলতায় লেবুর রস

তালের শাস খাওয়ার উপকারিতালেবু আমাদের দৈনন্দিন নানা প্রয়োজনে ব্যবহার হয়। লেবু বিভিন্ন পুষ্টি গুণাগুণ সম্পন্ন একটি ফল। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে লেবু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেবু খুব পরিচিত ফলের মধ্যে একটা। আপনারা যারা লেবুর উপকারিতা এবং ত্বকের উজ্জ্বলতায় লেবুর রস যেভাবে সাহায্য করে এসব সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের নিচের আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন এখানে আরো উল্লেখ করেছি খালি পেটে লেবুর রস খেলে কি হয়।
লেবুর উপকারিতা এবং লেবুর রস ত্বকের উজ্জ্বলতায় লেবু খুব উপকারি ভুমিকা পালন করে। এমন কোন মানুষ নেই যে লেবু চেনে না। লেবু হল ভিটামিন সি এর উৎস। আপানারা নিচে পরলে আর ও জানতে পারবেন লেবুর খোসা খেলে কি হয়।

ভুমিকা

শরীরের ভিটামিন সি এর প্রয়োজনীয়তা লেবু অনেকটা পূরণ করে। লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড। লেবুতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। লেবু আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপকার করে থাকে। লেবুর পানি খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে,হজমশক্তি বাড়ে, ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়,স্কিন সুন্দর রাখে। লেবু খেলে অনেক উপকার হয় যা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করছি আপনারা চাইলে নিচে থেকে পড়ে আসতে পারেন।

লেবুর উপকারিতা

  • হৃদরোগের ঝুকি কমায়ঃ লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি বিভিন্ন ধরনের রোগ এবং হৃদরোগের বিভিন্ন জটিলতা দূর করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ লেবু খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। সকালে কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে পেটের সকল সমস্যা দূর হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
  • ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণঃ স্কিনে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা হয় যেমন বলি রেখা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবে স্কিনে বিভিন্ন দাগ হয়, স্কিন শুষ্ক হয়ে যায়। আমরা যদি নিয়মিত লেবুর রস গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারি তাহলে এই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়।
  • মুখের গন্ধ দূরীকরণঃ বিভিন্ন খাবার খাওয়ার পরে মুখে গন্ধ হয়,বিভিন্ন মাছ খেলে মুখে গন্ধ হয়। লেবুর পানি খেলে মুখের এসব গন্ধ দূর হয়ে যায়।
  • পেটের সমস্যা দূরীকরণঃ লেবু পানি খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং গ্যাস্ট্রিকের সকল সমস্যা দূর করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ লেবু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। লেবুতে থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • দাঁতের ব্যথাতে লেবুঃ লেবুতে আন্টি ইনফ্লেমারি রয়েছে যা দাঁতের ব্যথা দূর করে। লেবুর সাথে লবণ মিশিয়ে নিয়মিত দাঁতে ব্যবহার করা যায় তাহলে দাঁতের ব্যথা দূর হয়ে যায়।

ভাতের সাথে লেবু খেলে কি হয়

লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটা ফল যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। লেবু খুবই একটা পরিচিত ফল নিয়মিত যদি ভাতের সাথে লেবুর রস খাওয়া যায় তাহলে ঠান্ডা জ্বর কাশি ভালো হয়। কারো কারো সাইনাসের সমস্যা থেকে থাকে যা লেবু খাবার ফলে ভালো হয়।

খালি পেটে লেবুর রস খেলে যেসব উপকার হয়

  • পুষ্টির ঘাটতি দূর করেঃ লেবুতে ভিটামিন সি এর পাশাপাশি বিভিন্ন ভিটামিন থাকে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এসব ভিটামিন আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি দূর করে থাকে।
  • শরীর হাইড্রেট রাখেঃ লেবুর পানি খেলে মুখে রুচি ফিরে আসে এবং বারবার খেতে ইচ্ছে করে বারবার খাবার ফলে শরীরে পানির সাম্যতা বজায় থাকে এবং শরীরে আদ্রতা ফিরে আসে। শরীর শুষ্ক হয়না। এমনি পানি তো সবসময় খাওয়ার রুচি হয় না কিন্তু লেবুর পানি যেহেতু স্বাদ যুক্ত তাই বারবার খাবার রুচি হয়। বারবার খাবার কারণে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হয়ে যায় এবং শরীর হাইড্রেট রাখে।
  • পি এইচ লেবেল সমতাকরণঃ লেবুর রস দিয়ে একটু কুসুম গরম পানি যদি সকালে উঠে ঘুম থেকে উঠে খাওয়া যায় তাহলে শরীরের পিএইচ লেভেলটা ব্যালেন্সে থাকে ফলের শরীর আমাদের সতেজ থাকে এবং কাজ করার এনার্জি দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
  • ওজন কমায়ঃ ওজন কমানোর জন্য লেবু খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত যদি লেবু পানি খাওয়া যায় তাহলে চর্বি ঝরে যায় এবং ওজন কমে যায়।
  • কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করেঃ লেবুতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকে তার মধ্যে সাইট্রিক এসিড অন্যতম। সাইট্রিক এসিড থাকার কারণে কিডনিতে পাথর জমা হয় না। আর জমা হলেও সাইট্রিক এসিড পাথর বের করতে সাহায্য করে।
  • লিভারের কার্যক্রম বৃদ্ধি করেঃ লেবু লিভারের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে থাকে। লেবুতে যে সাইট্রাস থাকে তা লিভার থেকে বর্জ্য নিরশনের সাহায্য করে এবং লিভার কে সুস্থ রাখে।
  • ক্লান্তি দূর করেঃ নিয়মিত যদি লেবুর রস খাওয়া যায় তাহলে ক্লান্তি অবসাদ কমে যায়। লেবুতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের বিভিন্ন হরমোনের ব্যালেন্স করে যার ফলে অবসাদ কমে যায়।
  • সংক্রমণ দূর করেঃ লেবুতে বিভিন্ন আন্টি ব্যাকটেরিয়াল থাকে যার শরীরে বিভিন্ন সংক্রমণ কে সুন্দরভাবে প্রতিরোধ করে। আমাদের গলায় বিভিন্ন সমস্যা হয় প্রদাহ হয় যা লেবু প্রতিরোধ করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায় যে পটাশিয়াম আমাদের শরীরের মাংসপেশিগুলোকে কর্মক্ষম রাখে এবং হার্টবিটের নিয়ন্ত্রণ রাখে লেবু খেলে শরীরে পটাশিয়ামের প্রয়োজনীয়তা পূরণ হয় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

লেবুর খোসার পাঁচটি উপকারিতা

  • মাড়ী থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে লেবুর খোসার গুরুত্ব অপরিসীম। লেবুর খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা মাড়ীর জন্য খুবই উপকারী।
  • লেবুর খোসা ব্যবহার করলে ত্বক সুন্দর হয়ে যায় কারণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে লেবুর খোসাতে।
  • লেবুর খোসা খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম কারণ খোসাতে সাইট্রিক এসিড আছে।
  • লেবুর খোসা ব্যবহার করলে চুল অনেক শক্ত এবং মজবুত হয়। লেবুর খোসা দিয়ে যদি একটি পেস্ট বানিয়ে তুলে ব্যবহার করা যায় তাহলে চুলের ভাঙ্গন কমে যায়।ব্রণ হওয়ার কারনে ত্বকে যে ছিদ্র গুলু হয় তা লেবুর খোসা ব্যবহারে বন্ধ হয়ে যায়।

লেবুর রস বেশি খেলে যে ক্ষতি হয়

রসে থাকে সাইট্রিক এসিড যা দাঁত ক্ষয় করতে সাহায্য করে।এবং বেশি খেলে আমাদের পেটে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি তাই লেবুর রস বেশি খাওয়া উচিত না।

শেষ কথা

আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের লেবুর রস খেলে কি হয়, লেবুর খোসা থেকে কি উপকার রয়েছে, সবকিছু আলোচনা করেছি যদি আপনাদের এটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কমেন্টের মাধ্যমে নিজেদের মতামত জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের মতামত জানান

comment url