ব্রণ দূর করতে যেসব খাবার খাওয়া যাবেনা- ব্রণ দূর করার উপাই

ব্রণ আমাদের মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। ব্রণ দূর করা নিয়ে কিছু উপায় কে বর্ণনা করা হলো। আমাদের আমাদের সৌন্দর্যের রাজধানী মুখকে বলা হয়। মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় মুখে ব্রণ উঠলে। মুখের ব্রণ দূর করতে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারি।

দামি কসমেটিকসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকেনা।তাই আমরা দামি দামি জিনিস ব্যবহার না করে কিছু কসমেটিক্স ব্যবহার না করে ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ ভালো করতে পারি।

ভুমিকা

এই ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে মুখে গড়ে তুলতে পারি আরো সুন্দর। রোদের তাপে বাইরে ঘুরাঘুরির কারণে মুখে অনেক সময় ময়লা জমে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। ব্রণের দাগগুলো যাতে স্থায়ী না হয় সেজন্য কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে ব্রন থেকে আমরা অনেকটা মুক্তি পেতে পারি।ব্রণ দূর করার কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

মুলতানি মাটি

আমাদের মুখের জন্য খুবই উপকারী মুলতানি মাটি।মুলতানি মাটি পানির সাথে মিশ্রিত করে একটা পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে পেস্ট মুখে লাগাতে হবে এভাবে বেশ কিছুদিন ব্যবহারের ফলে মুখের দাগ ব্রনের অনেকটাই কমে আসবে।মুলতানি মাটি মুখের তেলতেলে ভাব দূর করে।

শসা 

শসা আমরা পিস পিস করে কেটে নিয়ে এসে কাটা অংশ মুখে লাগাতে পারি। শশা মুখের দাগ দূর করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে মুখে কালো কালো দাগ হয়ে যায় শশার সাথে আমরা একযোগে টমেটো ব্যবহার করতে পারি।শসা চোখের নিচে কালো দাগও দূর করে। শশায় থাকা আন্টি অক্সি দেন্কট ত্বক কে করে তোলে আরো সুন্দর ও নমনীয়। রাতে ঘুমানোর আগে আমরা শসা চোখের উপর দিয়ে ঘুমাতে পারি তাদের চোখের ফোলা ভাব দূর হয়।শসা গোলাপ জলের সাথে মিশীয়ে আমরা ব্যবহার করতে পারি। শসা ত্বকের পোড়া পোড়া ভাব দূর করে । 

নিম পাতা 

নিম পাতা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আমরা প্রথমে কয়েকটি নিমপাতা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিব তারপর সেগুলো বেটে একটি পেস্ট তৈরি করে নিব এই পেস্ট আমরা সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করব, এতে করে মুখের বিভিন্ন দাগ দূর হয়ে যাবে এবং মুখে ব্রণ উঠা কমে যাবে।আমরা নিম পাতার সাথে মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারি।নিম পাতা অনেক তিতা এই কারণে এলার্জির প্রবলেমও কমে যায় আমরা এই পেস্ট টি এক মাসের মতো ব্যবহার করলে সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আলু আমাদের মুখে ইউজ করা যেতে পারে।

কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুড়া 

একসাথে নিয়ে আমরা মুখে দাগিয়ে রাখতে পারি ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে ।এভাবে অন্তত সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে হবে । চালের গুড়া মধু রস এবং লেবু মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে যাদের মুখে এলার্জি আছে তারা লেবুর রসটা বাদ দিতে পারেন।

মধু ,চালের গুড়া এবং লেবুর রস

এটার একটি পেস্ট তৈরি করে লাগাতে হবে। আমাদের মুখে ব্রনের সমস্যা হয় মূলত ময়লা থেকে লোমগুলো ময়লা দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় এবং মুখে ব্রণ উঠে। মুখ অপরিষ্কার থাকার কারণে এরকম সমস্যা দেখা দেয় মুখ পরিষ্কার করার জন্য এরকম চালের গুড়া দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে তাতে করে মুখের ময়লা কেটে যাবে এবং ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে

পাতা তুলসী পাতাঃ আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী তুলসী পাতা কয়েকটা বেটে মধুর সাথে কে একটা পরে মুখে লাগালে মুখের তেলতেলে ভাব দূর হয়ে যায়।

পেপে ও চাল এর গুড়া 

পেঁপে কেটে আগে পিস পিস করে নিতে হবে তারপর সেখানে পরিমাণমতো চালের গুড়া দিয়ে মিশ্রিত করতে হবে সাথে লেবুর রস দেওয়া যায় কিন্তু তাদের এলার্জি প্রবলেম আছে না দেওয়াটাই ভালো স্কাব টা মুখে দিলে ত্বকের তেলতেলে ভাবো দূর হয়ে যায়,মুখে ময়লা দূর হয়ে যায়।

মুখের দাগ দূর করতে কয়েকটি খাবার যেসব খাবার খেতে হবে

  • শসাঃশসা দাগ দূর করতে শশার গুরুত্ব অনেক ।শসাতে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টি গুনাগুন যেমন ভিটামিন,বি,সি,এ, আমিনো অ্যাসিড।ত্বক যে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয় এসব ভিটামিন সেসব ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করে, ফলে মুখে ব্রণের প্রকোপ কমে যায়। তাই মুখে ব্রণ কমাতে আমরা নিয়মিত শসা খেতে পারি শসা জুস খেতে পারি।
  • সবুজ তাজা শাকসবজিঃ আমাদের পেটের সমস্যা যদি থেকে থাকে গ্যাসের কোন প্রবলেম থেকে থাকে তাহলে মুখে ব্রণের প্রকোপ বেড়ে যায় আর সবুজ শাকসবজি খেলে আমাদের গ্যাসের সমস্যা কমে যায়, বদহজম হয় না, ফলে মুখে ব্রণ কমে যায় কোন সমস্যা না তাই আমাদের নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত।যেসব সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত সেসব সব হলো লাউ, ফুলক্পি, বাঁধাকপি, পুঁইশা্‌ক, পালং শাক ইত্যাদি সতেজ সবুজ তাজা শাকসবজি খেলে সতেজ থাকে এবং মুখে ব্রণ কমে যায়।
  • পানিঃ পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী পানি খেলে মুখে ব্রণ কমে যায় আমাদের যাদের মুখে ব্রণের সমস্যা আছে তাদের উচিত দিনে পাঁচ থেকে ছয় লিটার পানি পান করা পানি খেলে শরীর সুস্থ হয় না এজন্য ব্রণ ও কমে যায় পানি না খেলে শরীর রুক্ষ হয়ে যায় এবং ব্রণ দেখা দেয় তাই আমাদের উচিত নিয়মিত পানি পান করা বেশি করে অন্তত দিনে ছয় লিটার।
  • কাঁচা রসুনঃকাঁচা রসুন আমরা অনেকেই অনেকেই খেতে চায় না কাঁচা রসুনের যে আন্টি ব্যাকটেরিয়াল থাকে ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে।
  • তৈলাক্ত খাবারঃ এসব খাবার বর্জন করতে হবে ঘরে সয়াবিন তেল আস্তে আস্তে বাদ দিতে হবে। অলিভ অয়েল খেতে হবে। তেল যুক্ত এ যুক্ত খাবার ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ তাই আমাদের সর্বপ্রথম তেল যুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে বাইরের ফাস্টফুড খাওয়া যাবেনা। এসব খাবার খেলে মুখে অনেক ব্রণ হয় তাই এসব আগে বাদ দিতে হবে।
  • টমেটোঃ টমেটোতে থাকে ভিটামিন সি যা যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী প্রচুর ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেলে ত্বক সুন্দর থাকে ফলমূল ত্বক সুন্দর রাখতে এবং। 
  • ফলমূলঃ আমাদের খাবারে সব সময় সবুজ ফলমূল রাখতে হবে। ফলমূল আমাদের ত্বকসতেজ রাখে।আমাদের প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ফলমূল রাখতে হবে।

ব্রণ দূর করতে যেসব খাবার খাওয়া যাবেনা।

  • সবসময় বাইরের ফাস্টফুড না খাওয়ার  আমাদের চেষ্টা করতে হবে আমাদের। বাইরের ফাস্টফুড খাওয়া যাবেনা।
  • চকলেট আমাদের কমবেশি সকলেরই পছন্দ কিন্তু চকলেট খেলে মুখে ব্রণের প্রকোপ বেড়ে যায় তাই আমাদের চকলেট টা পরিহার করতে হবে।
  • বাইরের চিপস জাতীয় খাবার বাইরের চিপস জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা এসব খেলে মুখে ব্রণ বেশি ওঠে ।
  • তেলযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা যেমন বেগুনি পিয়াজি চপ ইত্যাদি। 

লেখকের মন্তব্য

আমরা কম বেশি সকলেই ব্রন এর সমস্যাই ভুগি।ব্রন এর সমস্যা দূর করতে এসব ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারি।আমার পোস্ট যদি আপনাদের ভালো লাগে শেয়ার করবেন আর আপনাদের মতামত কমেন্ট এ জানিয়ে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের মতামত জানান

comment url